Tuesday, May 29, 2018

বাংলাদেশের ঢাকার মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যলয়

'বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে কি যোগ্য নেতৃত্বের অভাব চলছে?

সাবিনা ইয়াসমিন (ছদ্মনাম) একটি বেসরকারি ব্যাংকে ৫ বছর ধরে কাজ করছিলেন। এ বছরের জানুয়ারি মাসে তাকে ডেকে আকস্মিক ভাবে পদত্যাগ করতে বলা হয়।
"আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেছি, আমার কোন কাজের কারণে কি আমাকে রিজাইন করতে বললেন? তারা বললো - তোমার কোন ভুল থাকলে সেটা অন্যভাবে সমাধান করার ব্যবস্থা ছিল কিন্তু যেহেতু ম্যানেজমেন্ট চাচ্ছে না সেহেতু তুমি এখনি রিজাইন করো" - বলছিলেন তিনি।
সাবিনা ইয়াসমিন বলছিলেন, তিনি মনে করেন যে তার পদত্যাগের বিষয়টা ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে হয়েছে, যেখানে তার কোন ত্রুটি ছিল না ।
ব্যাংকিং খাত নিয়ে এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, ২০১৭ সালে দেশে বিভিন্ন ব্যাংকে ৫ হাজার ৭শ' জনকে বাধ্যতামূলক চাকরি ছাড়ার কথা বলা হয়েছে। আর নয় হাজার ২০ জন চাকরি হারিয়েছেন।
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের করা ঐ গবেষণায় বলা হয়েছে এতে করে ব্যাংকে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব দেখা দিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা বিভাগের পরিচালক ড.প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জি বলছিলেন, কারণ ছাড়া বাধ্যতামূলক চাকরিচ্যুতির ঘটনায় ব্যাংকগুলোতে বিভিন্ন পদে যোগ্য লোকের শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
তিনি বলছিলেন, "কিছু কিছু আছে যেটা সাংঘর্ষিক কারণে ফোর্সড লিভে যায় - যেটা কারো কাছে কাম্য নয়। যে ব্যক্তি প্রিন্সিপাল অফিসার তাকে যদি এজিএম করা হয় তাহলে সে তো সে কাজটা করতে পারবে না। এখন যোগ্য লোক না থাকার কারণে এটা হচ্ছে। বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব"।
বাংলাদেশে এখন সরকারি ব্যাংক রয়েছে ৬টি। আর বিশেষায়িত ব্যাংক রয়েছে দু'টি।
এছাড়া বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে অন্তত ৫৭টি। গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশে ব্যাংকের সংখ্যা বাড়ছে - আর সেই সাথে বাড়ছে এর ব্রাঞ্চের সংখ্যা। কিন্তু সেই অনুযায়ী কর্মীর সংখ্যা বাড়েনি।
এদিকে বেসরকারি ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাঙ্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার বলছিলেন, মূলত কয়েকটি কারণে এই চাকরি হারানো ঘটনা হয়েছে। তবে ঢালাওভাবে সব ব্যাংকেই যে এই অবস্থা বিদ্যমান সেটা সঠিক নয়।
মি. ইফতেখার বলছিলেন, কিছু রিটায়ারমেন্ট লোক চলে গেছে,কিছু নন-পারফর্মিং লোককে চাকরী ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। আর প্রযুক্তির ব্যবহারের সাথে সাথে গত ৫ বছরে ব্যাংকিং খাত অনেক দুর এগিয়ে গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
'হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অব ব্যাংকস' নামে ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এক তৃতীয়াংশ ব্যাংকই হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বা কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কোন অর্থ ব্যয় করেনি। যেখানে বিশ্বব্যাপী ২ থেকে ৩ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা হয় কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে।
তবে ব্যাংক পরিচালনাকারীরা এই বিষয়টির সাথে একমত হতে পারছেন না। বিআইবিএম বলছে ২০১৬ সালে দেশে ব্যাংকারের সংখ্যা ছিল ৯০২৬৫জন।
কিন্তু ২০১৭তে কমে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১২৪৫ জনে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত ধারার ব্যাংকিং সিস্টেম ছাড়াও বিকাশ, রকেট নামে প্রযুক্তিভিত্তিক সাধারণ ব্যাংকিং চালু হয়েছে।
তবে প্রতিবেদনে এসব পদ্ধতির বিষয়ে কোন উল্লেখ নেই বরং ৬১ শতাংশ ব্যাংকার মতামত দিয়েছেন, অসৎ কর্মীদের কারণে সনাতন ব্যাংক খাতে অনিয়ম দেখা যাচ্ছে।
ভারতে রাজনীতি ও নির্বাচন খুব প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে গেছে।

ভারতে কি ঘুষ দিয়ে ভোট কেনা যায়? ভোটাররা কি দেখে ভোট দেন?

ভারতে একজন ব্যক্তি কাকে ভোট দেবেন তা কিসের উপর নির্ভর করে? প্রার্থীর পরিবার, পরিচয়, আদর্শ, জাতিগত পরিচয়, নাকি দক্ষতা?
তবে ভোটের সময় ভারতের প্রার্থীরা মানুষজনকে নাকি প্রচুর ঘুষ দেন। বিশেষ করে দরিদ্র ও বিপদগ্রস্ত লোকজনকে টাকা দিয়ে ভোট কেনা হয়।
এই সেদিনই দক্ষিণের প্রদেশ কার্নাটাকায় ভোটের আগে কর্তৃপক্ষ দুই কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ এবং নানা উপহার সামগ্রীর হদিস পেয়েছে।
বলা হচ্ছে এটা নাকি আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। এমনকি ভোটকে কেন্দ্র করে ব্যাংকে অর্থ লেনদেন হয়েছে।প্রার্থী জিতে গেলে আরো জুটবে এমন প্রতিশ্রুতিও ছিল বলে রিপোর্ট বের হয়েছে।উপহার সামগ্রীর মধ্যে মদের বোতল বেশ উল্লেখযোগ্য। পাড়ার কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে এসব বিলি করা হয়।ভোটার প্রতি বেশ ভালই খরচ করেন প্রার্থীরা। অনেক ক্ষেত্রে ভোটার প্রতি এক হাজার রুপির হিসেবও পাওয়া গেছে।বলা হচ্ছে ঘুষ দিয়ে ভোট কেনার প্রবণতা ভারতে বেশি কারণ সেখানে রাজনীতি খুব প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে গেছে।১৯৫২ সালে যেখানে ভারতে রাজনৈতিক দল ছিল ৫৫ টি, ২০১৪ সালে দেখা গেছে সেই সংখ্যা বেড়ে এখন ৪৬৪।ইদানীং সেখানে নির্বাচনে আগের থেকে অনেক বেশি অনিশ্চয়তা থাকে।কোন একক দলের আগে যেমন ভোট নিশ্চিত থাকতো এখন আর তা নেই।কিন্তু নতুন এক গবেষণা বলছে, ঘুষ দিয়ে আসলে ভোট কেনা যায়না।যুক্তরাষ্ট্রের ডার্টমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ডঃ সায়মন শোশা তেমনটাই বলছেন।
তিনি ও তার সহযোগীরা ভারতের ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচন ও মুম্বাইয়ে ২০১৭ সালের একটি পৌরসভা নির্বাচন সম্পর্কে প্রচুর তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন।নানা দলের কর্মীদের সাক্ষাতকার নিয়েছেন। তারা এমন তথ্যও পেয়েছেন যাতে দেখা গেছে যে প্রার্থী সবচাইতে বেশি খরচ করেছেন তিনি চতুর্থ হয়েছেন।দলগুলোর কর্মীরা জানিয়েছে ঘুষ হয়ত অল্প কিছু লোকের ভোট প্রভাবিত করে। জয়ের জন্য অর্থ দিয়ে অনেক বেশি ভোট কেনা যায়না।তাছাড়া ঘুষের টাকা প্রায় ক্ষেত্রেই ভোটার পর্যন্ত পৌঁছায় না।যাদের বিলি করার দায়িত্ব দেয়া হয় তাদের পকেটেই চলে যায় অনেক টাকা।আবার ঘুষ নিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করার প্রবণতাও রয়েছে।ভোটারদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা জটিল হয়ে পড়েছে দলগুলোর জন্য।
তবে ডঃ শোশা বলছেন, ঘুষ একদম কাজে আসে না তাও নয়। না দিলে অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে। অন্তত কোনও প্রার্থীকে হয়ত সেইসম্ভাবনা থেকে বাঁচিয়ে দেয়।দিল্লি ভিত্তিক একজন রাজনীতির বিশ্লেষক সনজয় কুমার বলছেন, বেশিরভাগ দল মনে করে যেসব ভোটাররা সিদ্ধান্তহীনতায়ভুগছে তাদের হয়ত ঘুষ দিয়ে প্রভাবিত করা যায়।কিন্তু আসলে তার কোন প্রমাণ নেই।নির্বাচনে ভোটারকে ঘুষ দেয়ার সাথে সাংস্কৃতিক কোন বিষয় থাকতে পারে বলেও মনে করা হয়।দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর দরিদ্র মানুষজন ধনীদের প্রার্থী হিসেবে পছন্দ করে।আর ভারতে পৃষ্ঠপোষকতার রাজনীতির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক নৃবিজ্ঞানী আনাস্তাসিয়া পিলাভস্কি রাজস্থানের গ্রামাঞ্চলে ভোটের ধরন নিয়ে গবেষণা করেছেন।সেখানে মানুষজন প্রার্থীর কাছ থেকে ভোজ বা উপহার আশা করেন।আনাস্তাসিয়া পিলাভস্কি বলছেন, গ্রামীণ ভারতে প্রথা ও রীতিনীতির উপরে ভোটের অনেক কিছু নির্ভর করে।রাজা ও প্রজার সম্পর্কের ধারনা দিয়ে এখনো সেখানে অনেক ক্ষেত্রে ক্ষমতার ব্যবহার হয়।সেখানে নির্বাচন কমিশন বা পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টির অগোচরেই থেকে যায় ভোজকে কেন্দ্র করে কিভাবে ভোটারকে টোপ ফেলা হয়।তবে লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সের মুকুলিকা ব্যানার্জি বলছেন, দরিদ্র ভোটাররা সকল প্রার্থীর কাছ থেকে অর্থ বা উপহার নেন।
কিন্তু ভোট দেন হয়ত সম্পূর্ণ অন্য কোন কারণে।ভারতের রাজনীতিবিদরাও সেটা জেনে শুনেইটাকাখরচকরেন।একজনবিজেপিরনেতাবলছিলেন, টাকা ঢালার বিষয়টা হল মোটরসাইকেলে তেল ভরার মতো।যদি তা না ভরেন তাহলে কোথাও পৌঁছাতে পারবেন না।কিন্তু বেশি তেল ভরলেআগে যাওয়া যাবে এমনটাও নয়।তাই ঘুষ বিষয়টা ভারতের নির্বাচনী সংস্কৃতিতে হয়ত থেকেই যাবে।

 

আবার বৈঠকে বসলেন উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার দু'নেতাউত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়া

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন মাত্র চার সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় বারের মতো দু-ঘন্টাব্যাপী এক বৈঠক করেছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যেকার সম্ভাব্য শীর্ষ বৈঠকটি যাতে হতে পারে তা নিয়ে দু পক্ষই যখন চেষ্টা করছে, তার মধ্যেই এ বৈঠক।
শীর্ষ বৈঠকটি কিভাবে সম্ভব করা যায় তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে দু নেতার মধ্যে - বলেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দফতর।
আগামি ১২ই জুন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠেয় ওই শীর্ষ বৈঠকটি গত বৃহস্পতিবার বাতিল করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প - কিন্ত শুক্রবার তিনি বলেন, দু পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে এবং বৈঠকটি হয়তো হতেও পারে।
মি. মুন রোববার সকালে উত্তর কোরিয়ার নেতার সাথে তার বৈঠকের ফলাফল জানাবেন, বলেছে তার দফতর।
দীর্ঘ কয়েক দশকের বৈরিতার প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ দুই কোরিয়ার নেতাদের মধ্যে এনিয়ে মুখোমুখি বৈঠক হয়েছে মাত্র চার বার।সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিবাদ জানায় উত্তর কোরিয়া এবং তার পর থেকে দুদেশের মধ্যে কোন কথাবার্তা হয় নি।উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচিকে নিয়ন্ত্রণে আনার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মধ্যে শনিবারের এই বৈঠক এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে আভাস পাওয়া যায় যে দুই কোরিয়া একসাথে কাজ করার একটা পথ বের করতে চায়।সমস্যা হচ্ছে কোরিয়া উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার ব্যাপারটিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়া ভিন্ন ভিন্ন ভাবে দেখছে।মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা চান উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি এবং অস্ত্রগুলোর পুর্ণ বিলুপ্তি।কিন্তু উত্তর কোরিয়া বলছে, তাদের পরমাণু অস্ত্র ত্যাগ করার বিনিময়ে ওয়াশিংটনকেও সমতুল্য কিছু একটা করতে হবে।যুক্তরাষ্ট্রের বড় আকারের সামরিক উপস্থিতি আছে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায়। উত্তর কোরিয়া আশা করছে যে এর মাত্রা কমানো হবে, এবং এই নিশ্চয়তা দেয়া হবে যে রাষ্ট্র হিসেবে তার অস্তিত্ব এবং তাদের নেতৃত্ব কখনোই বিপন্ন হবে না।কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা সমাধানের কর্মপন্থা হিসেবে লিবিয়া মডেলের উল্লেখ করার পর উত্তর কোরিয়া ক্ষিপ্ত হয়।

রশিদ খান বর্তমান বিশ্বের সেরা স্পিনার

আফগান ক্রিকেটার রশিদ খান

গত বছর আইপিএলের আগে হায়দ্রাবাদ যখন চার কোটি রুপি দিয়ে প্রায় অচেনা এই তরুণকে কেনে, অনেকেই অবাক হয়ে কপালে চোখ তুলেছিলেন।
কিন্তু দুবছর না যেতেই মাত্র ১৯ বছরের আফগান ক্রিকেটার আইপিএল তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটের নতুন সুপার স্টার হয়ে উঠছেন।
বিশেষ করে, শুক্রবার আইপিএলের প্লে-অফ ম্যাচে হায়দ্রাবাদের পক্ষে তার অসামান্য পারফরমেন্সের পর ফ্যানরা ছাড়াও বিশ্বের বড় বড় কিকেটোরদেরও অকুন্ঠ প্রশংসায় ভাসছেন রশিদ খান। ঐ ম্যাচে ব্যাট হাতে তার ১০ বলে ৩৪ রান এবং বল হাতে মাত্র ১৯ রানে তিনটি উইকেটের বদৌলতে হায়দ্রাবাদ কলকাতাকে হারায়।
ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন টেন্ডুলকার বলেছেন, টি-২০ ফরম্যাটের ক্রিকেটে রশিদ খান এখন নিঃসন্দেহে সেরা।
সচিন টেন্ডুলকার টুইট করেছেন, "আমি সবসময়ই মনে করতাম সে একজন ভালো স্পিনার, কিন্তু এখন আমার বলতে দ্বিধা নেই যে এই (টি-২০) ফরম্যাটে সে বিশ্বের সেরা।"
আরেক কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন বলেছেন, রশিদ খানের স্পিন বোলিং তাকে বিশেষভাবে উদ্বীপ্ত করে।
মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন ভিভিএস লাক্সমান এবং ইরফান পাঠানসহ ভারতের বহু সাবেক ক্রিকেটার।

মমতাকে এড়িয়ে কেন তিস্তা চুক্তি করবে না ভারত

ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ 

বহুপ্রতীক্ষিত তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের প্রশ্নে দিল্লি যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মতামতকে অগ্রাহ্য করে কিছুতেই এগোবে না, সেটা আবারও জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
নরেন্দ্র মোদি সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে তার বাৎসরিক সাংবাদিক সম্মেলনে মিস স্বরাজ আরও জানিয়েছেন, গত বছর শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় মিস ব্যানার্জি তিস্তার বিকল্প হিসেবে অন্য দু-তিনটি নদীর জল ভাগাভাগির যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেটা কতটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব তা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পাশাপাশি, চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কটে ভারত মিয়ানমারের পক্ষ নিয়েছে, বাংলাদেশের কাছ থেকে কখনও এমন অভিযোগ তাদের শুনতে হয়নি বলেও ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন।
যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাধায় বহুপ্রতীক্ষিত তিস্তা চুক্তি আজও হতে পারেনি, তাদের অগ্রাহ্য করেই কেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করার ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছে না - এমন একটা দাবি বেশ কিছুকাল ধরেই বাংলাদেশের গণমাধ্যম বা সুশীল সমাজের ভেতর থেকে উঠছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, ভারতের কেন্দ্রীয় কাঠামোতে সেটা কিছুতেই সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, "দেখুন, তিস্তা চুক্তি শুধু ভারত আর বাংলাদেশ এই দুই সরকারের বিষয় নয় - পশ্চিমবঙ্গও সেখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডার। সে কারণেই আমরা বারবার মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে আলোচনার কথা বলছি।"
"তিনি গত বছর শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় একটা বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেটা ছিল তিস্তা বাদ দিয়ে অন্য দু-তিনটে নদী (ধরলা, জলঢাকা, শিলতোর্সা ইত্যাদি) থেকে একই পরিমাণ জল বাংলাদেশে পাঠানো। তাতে তারা জলও পাবে, তিস্তাও বাঁচবে।